গুগল র‌্যাংকিংয়েও মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বিশ্বসেরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.)। তিনি নবীদের সর্দার। কিয়ামত পর্যন্ত আগত সব মানুষ ও জিনের জন্য নবী। তিনি শেষ নবী। তাঁর পরে আর কোনো নবী আসবেন না। তাঁর সম্মান ও মর্যাদার সাক্ষ্য পবিত্র কোরআনসহ সব আসমানী গ্রন্থে রয়েছে। আল্লাহ তাআলা তাঁকে সৃষ্টিজগতের জন্য কল্যাণস্বরূপ প্রেরণ করেছেন।

এদিকে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের র‌্যাংকিংয়েও বিশ্বের সেরা মহামানব হিসেবে স্থান পেয়েছেন তিনি। গুগলে ‘who is the best man in the world- হু ইজ দ্য বেস্ট ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ লিখে সার্চ করলেই যে তালিকা চলে আসে তার মধ্যে প্রথমেই দেখায় হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নাম।

এটাই বাস্তব। যে কেউ চাইলে গুগলে ‘who is the best man in the world- হু ইজ দ্য বেস্ট ম্যান ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ লিখে চেক করে দেখতে পারেন। ন্যয়, ইনসাফ ও শান্তির বার্তাবাহক হযরত মুহাম্মদ (সা.)। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে সর্বশ্রেষ্ঠ নির্বাচন করে শান্তির এ বার্তাই পৌঁছে দিচ্ছে গুগল।

গুগলের এ তথ্য এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এভাবে ভাইরাল যে- Best Man In The World ’Prophet Muhammad’. অর্থাৎ নবী মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের সেরা মহামানব। সবচেয়ে আনন্দ ও আশ্চর্যের বিষয় হলো- ইউরোপের দেশগুলোতে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নামে শিশুর নামকরণ ‘মুহাম্মাদ’ নামে সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত ও জনপ্রিয়।

১৯৭৮ সালে মাইকেল এইচ হার্ট লিখিত ‘দ্য ১০০’ বইয়ের সর্ব প্রথম ও সেরা ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.)। পরবর্তীতে এ গবেষক ১৯৯২ সালের বইটির পুনঃমুদ্রণ করেন, সেখানেও বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সা.) নাম ও মর্যাদা অব্যাহত থাকে। মানব ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়।

উল্লেখ্য, মুহাম্মাদ (সা.) ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক। তিনি ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা। তার এই বিশেষত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন। তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনেও। সমগ্র আরব বিশ্বের জাগরণের পথিকৃৎ হিসেবে তিনি অগ্রগণ্য; বিবাদমান আরব জনতাকে একীভূতকরণ তার জীবনের অন্যতম সফলতা।

মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মুহাম্মাদ (সা.) এর নিকট আসা ওহীসমূহের একত্রিত রুপ পবিত্র কুরআন। পাশাপাশি হাদিস ও সিরাত (জীবনী) থেকে প্রাপ্ত তাঁ শিক্ষা ও অনুশীলন (সুন্নাহ) ইসলামী আইন (শরিয়াহ) হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর